চাপের মুখে জীবন শেষ! পার্টি অফিসে দেখা করার পরেই ঝুলন্ত দেহ মিলল ঘরে

চেম্বার তৈরি করতে গিয়ে তৃণমূল নেতার হুমকির মুখে পড়েছিলেন বিশ্বনাথ মণ্ডল। ছেলের দাবি, সেই হুমকির পরেই বাড়ি ফিরে বাবার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।

মৃতের ছেলে জয়ন্ত মণ্ডল জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের এক যুবনেতা সুরজিৎ ঘোষ তাঁদের বাড়ির সামনে গিয়ে প্রশ্ন তোলেন—কার অনুমতিতে চেম্বার তৈরি হচ্ছে? এরপর কাজ বন্ধ করতে বলেন এবং নির্দেশ দেন সন্ধ্যায় পার্টি অফিসে দেখা করতে। বিশ্বনাথবাবু সেই নির্দেশ মেনেই সন্ধ্যায় পার্টি অফিসে যান। বাড়ি ফিরে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। দ্রুত তাঁকে নামানো হলেও, তখন সব শেষ।

জয়ন্তর অভিযোগ, “বাবা কোনওদিন কারও সঙ্গে ঝামেলা করেননি। তবুও পার্টি অফিসে ডেকে অপমান করা হয়েছে। সেই মানসিক চাপে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।”চোখের সামনে বাবাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন জয়ন্ত। ইতিমধ্যেই ঘাটাল থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, “আমি তখন মাটি তুলছিলাম। সুরজিৎবাবু এসে ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলেন, তারপর বলেন কাজ বন্ধ করতে হবে আর পার্টি অফিসে যেতে হবে। তারপর উনি চলে যান।”

ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট জানান, “আমি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি সত্য। অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”এখন দেখার, পুলিশি তদন্তে আদৌ সত্যিটা সামনে আসে কি না, আর জয়ন্ত মণ্ডলের বাবার মৃত্যুর পিছনে কে বা কারা দায়ী, সেটা কি প্রমাণিত হয়।