শুধু স্বস্তি নয়, আশঙ্কাও! ঝড়বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতির মুখে চাষীরা

দাবদাহে হাঁসফাঁস করছিলেন সবাই। একটানা তাপপ্রবাহে নাজেহাল পশ্চিম মেদিনীপুরের মানুষ। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যার পর হঠাৎই বদলাল আবহাওয়ার মেজাজ। আচমকা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টি।

সবং, পিংলা, ডেবরা, নারায়ণগড়, বেলদা— একাধিক এলাকায় দেখা গেল প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ঝড়-বৃষ্টি। রাস্তাঘাট ভিজে একাকার, গরমে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষ একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।

কিন্তু এই বৃষ্টির মধ্যে খুশির পাশাপাশি একটা বড় চিন্তাও ঢুকে পড়েছে— সেটা চাষীদের মনে। এখন চলছে ধান কাটার মরশুম। অনেকেই ধান কেটে ফেলে রেখেছেন মাঠে, কেউ আবার খামারে রেখে দিয়েছেন। এই সময়ের প্রবল ঝড়বৃষ্টি ধানের বড় ক্ষতি করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

চাষীদের একাংশ বলছেন, “একদিকে গরম থেকে বাঁচলাম ঠিকই, কিন্তু এই বৃষ্টিতে যদি ধান ভিজে যায়, তাহলে অনেকটা ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। কষ্ট করে যা ফলিয়েছি, তা না ঘরে তোলা পর্যন্ত চিন্তা যাবে না।”

এখন দেখার, এই বৃষ্টি সাময়িক স্বস্তি দিলেও আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া কেমন থাকে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে যদি আরও এমন ঝড়-বৃষ্টির ইঙ্গিত থাকে, তবে চাষীদের জন্য তা বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।