গর্বের মুহূর্ত পূর্ব মেদিনীপুরবাসীর জন্য। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রশিক্ষণ শিবিরে সুযোগ পেল জেলার দুই কৃতী পড়ুয়া— এগরার আদিত্যজ্যোতি কর এবং জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের স্নেহা বেরা। অল্প বয়সেই দেশের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে গিয়ে উচ্ছ্বসিত দুই পড়ুয়া ও তাদের পরিবার।
এগরা পাবলিক স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র আদিত্যজ্যোতি কর ইসরোর ১৫ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেবে। ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানপ্রেমী আদিত্যজ্যোতির ঝুলিতে রয়েছে একাধিক রাজ্য ও জেলা স্তরের পুরস্কার। শিখে ফেলেছে এথিক্যাল হ্যাকিং-এর মতো জটিল বিষয়, এমনকি নিজেই তৈরি করেছে একটি অপারেটিং সফটওয়্যার। ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণা নিয়েই কাজ করতে চায় সে। তার বাবা কনককান্তি কর নিজেও একজন বিজ্ঞান শিক্ষক, আর দিদিও বিজ্ঞানে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত।
ইসরো থেকে চিঠি পাওয়ার পরে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেনি আদিত্যজ্যোতি। সে জানায়, “স্কুলের এক শিক্ষকের পরামর্শে ইসরোর ওয়েবসাইটে অনলাইনে একটি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। সেখান থেকেই আমাকে নির্বাচিত করেছে ইসরো। আমার সাফল্য আমার পরিবার, শিক্ষক ও স্কুলের সহযোগিতার জন্যই।”
অন্যদিকে, জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী স্নেহা বেরা সুযোগ পেয়েছে ইসরোর ‘ইউভিকা ২০২৫’ (Young Scientist Programme)-এ। তার সাফল্যে খুশি স্নেহার স্কুল, পরিবার ও এলাকাবাসী। স্নেহার ছোটবেলার স্কুল দক্ষিণ সারদাময়ী শিশু শিক্ষা নিকেতনের শিক্ষকরাও গর্বিত। ভবিষ্যতে স্নেহা মহাকাশ গবেষণা নিয়েই কাজ করতে চায় বলে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইউভিকা হল ইসরোর একটি উদ্যোগ, যার মাধ্যমে দেশের কৃতী ছাত্রছাত্রীদের মহাকাশ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তোলা হয়। নির্বাচিত পড়ুয়ারা বিভিন্ন ইসরো কেন্দ্র ঘুরে দেখার পাশাপাশি অংশ নিতে পারে বৈজ্ঞানিক কর্মশালা ও আলোচনায়। এই সাফল্য পূর্ব মেদিনীপুরকে যেমন গর্বিত করেছে, তেমনই উৎসাহিত করেছে আগামী প্রজন্মকেও।