সমুদ্রে ভেসে এলেন জগন্নাথ! দিঘার মন্দির উদ্বোধনের আগেই চাঞ্চল্য, কোথায় প্রতিষ্ঠা করা হলো?

রবিবার বিকেলে দিঘার মাইতিঘাটে হঠাৎই ভেসে উঠল এক কাঠের জগন্নাথ মূর্তি। তখন সমুদ্রঘাটে চলছিল নতুন মন্দিরের নির্মাণ কাজ। ঠিক সেই সময় মিস্ত্রিদের চোখে পড়ে এই দেবমূর্তি। সমুদ্র থেকে তুলে এনে মূর্তিটিকে পাড়ে নিয়ে আসা হয়। মুহূর্তে ভিড় জমে যায় এলাকায়।

লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে, “মন্দির উদ্বোধনের আগেই স্বয়ং এসেছেন জগন্নাথ!” অনেকেই একে ‘শুভ সংকেত’ বা ‘আধ্যাত্মিক আশীর্বাদ’ বলে মনে করেন। সন্ধ্যা গড়ায়, রাত নামে—তবে প্রশ্ন ওঠে, দেবতাকে কোথায় রাখা হবে?

ভক্তরা নিরুত্তর। কেউ সাহস করে এগিয়ে আসেননি। ঠিক তখনই সামনে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা অবনী সামন্ত। তিনিই জানান, প্রভুকে তিনি নিজের বাড়িতে নিয়ে যাবেন। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি জগন্নাথদেবকে ভোগীব্রহ্মপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে পুজো করা হয়, প্রসাদ বিতরণ হয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তৈরি হয়েছে এক অপূর্ব আবেগঘন পরিবেশ। বিশেষত, যেহেতু দিঘাতেই তৈরি হচ্ছে বিশাল জগন্নাথ মন্দির, যার উদ্বোধন হবে অক্ষয় তৃতীয়ায়, তার আগে এমন এক ঘটনা চমকে দিয়েছে সকলকে। ভক্তদের মতে, “এটা শুধুই কাকতালীয় নয়, এটা ভগবানের ইচ্ছা!”

দিঘায় মন্দির উদ্বোধনের আগে জগন্নাথদেবের এমন আবির্ভাব এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। কেউ কেউ বলছেন, দেবতার আগমনই এই স্থানের প্রতি তাঁর আশীর্বাদের বার্তা।