দিঘার হোটেলগুলিতে খাদ্য নিরাপত্তায় কড়া নজর, জোর দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধিতে

সামনে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। একই সময়ে পড়েছে স্কুলের গরমের ছুটি। ফলে পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট দিঘা ও মন্দারমণি। প্রশাসনিক আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীরাও ইতিমধ্যেই দিঘায় আসতে শুরু করেছেন। তাঁদের জন্য বহু হোটেল ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে বুক করা হয়েছে।

হোটেল মালিক সংগঠনের সূত্রে খবর, ২৬ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত দিঘার বেশিরভাগ হোটেলের রুম আগাম বুক হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ নজর দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। জেলা খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ভিড়ের সময় নিম্নমানের খাবার বিক্রি আটকাতে গত এক সপ্তাহে ওল্ড ও নিউ দিঘার ৫০০টিরও বেশি হোটেল–রেস্তরাঁয় অভিযান চালানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসনিক ভবনে হোটেল মালিকদের নিয়ে বৈঠক করেন চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার অপূর্ব বিশ্বাস। তিনি জানান, “হোটেলে পর্যটকদের রুম দেওয়ার সময় অবশ্যই সঠিক পরিচয়পত্র যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও খাদ্য নিরাপত্তার উপর সর্বাধিক জোর দিতে হবে।” হোটেল সংগঠনগুলি প্রশাসনকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলেও তিনি জানান।

নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক বিশ্বজিৎ মান্না বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে হোটেল ও রেস্তরাঁয় পরিষ্কার কিচেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার প্রস্তুতি নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। ভিড়ের সময় যেন বাসি বা পচা খাবার বিক্রি না হয়, তার জন্য উদ্বোধনের দিনগুলিতেও বিশেষ অভিযান চলবে।”

দিঘার পাশাপাশি মন্দারমণিতেও ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। হোটেল মালিক দেবদুলাল দাস মহাপাত্র জানান, সব তথ্য যাচাই করে তবেই রুম দেওয়া হচ্ছে। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, “ভরা পর্যটন মরশুম চলছে। প্রশাসনের সঙ্গে আমরা সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।”