সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি। তবে রায় ঘোষণার পর ৯ দিন কেটে গেলেও স্কুলে স্কুলে কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা পৌঁছয়নি শিক্ষা দপ্তর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কিংবা ডিআই অফিসের তরফে। এই অনিশ্চয়তায় পড়েই ধন্দে পড়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রধান শিক্ষকরা।
সুপ্রিম কোর্টের রায় সামনে আসার পর অনেকেই আর স্কুলে আসছেন না। যদিও মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে কিছু শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছেন এবং ক্লাসও নিচ্ছেন। কিন্তু মূল সমস্যা হচ্ছে—তাঁরা রেজিস্টারে সই করবেন কি না, তা নিয়ে প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দ্বিধা তৈরি হয়েছে।
কলাইমুড়ি স্কুলের চিত্র
শালবনী ব্লকের কলাইমুড়ি নেতাজি সুভাষ হাইস্কুলে ১ জন শিক্ষিকা এবং ৩ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। দর্শনের ওই শিক্ষিকা মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার ও বুধবার স্কুলে এসেছিলেন। যদিও শুক্রবার তিনি ব্যক্তিগত কারণে অনুপস্থিত ছিলেন, তবে বাকি তিনজন স্কুলে উপস্থিত ছিলেন এবং রেজিস্টারে স্বাক্ষরও করেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক সুভাষ জানা।
গুড়গুড়িপাল স্কুলে অনিশ্চয়তা
মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষক ও ২ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। গত সপ্তাহে তাঁরা কেউই স্কুলে আসেননি। তবে শুক্রবার অঙ্কের এক শিক্ষিকা স্কুলে এসে ক্লাস নেন। কিন্তু রেজিস্টারে সই করা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম ভৌমিক জানান, “সই করানো নিয়ে একটু দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশ তো আসেনি।” শেষ পর্যন্ত ওই শিক্ষিকা অবশ্য সই করেন।
জেলার ডিআই স্বপন সামন্তকে এ বিষয়ে ফোন করা হলেও তিনি কোনও সদুত্তর দেননি। এদিকে, প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠনের জেলা প্রতিনিধি ড. অমিতেশ চৌধুরী জানান, “উপর মহল থেকে কিছু না বলা পর্যন্ত আমরা আগের মতোই চলব। কেউ সই করলে তাতে বাধা দেওয়ার উপায় নেই।”