নিজেদের ‘অযোগ্য’ তকমা মানতে নারাজ চাকরি হারানো শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। বুধবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের বার্জটাউনে পশ্চিম মেদিনীপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা সাফ জানিয়ে দিলেন—”আমরাও যোগ্য, নিয়োগে দুর্নীতি বা টাকার লেনদেনের কোনও প্রমাণ নেই।”
এই সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল ‘ইউনাইটেড টিচিং অ্যান্ড নন টিচিং ফোরাম’। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না পূর্ণনন্দ বিদ্যাপীঠের ভূগোল শিক্ষক সৌমেন সামন্ত বলেন, “আমরা প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করে চাকরি পেয়েছি। সুপ্রিম কোর্টও কোথাও যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করে বলেনি।”
নিকাশি হাইস্কুলের গ্রুপ-ডি কর্মী কল্যাণ দাশগুপ্ত বলেন, “আমরা ২৬ হাজার চাকরিচ্যুতের মধ্যেই পড়ি। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে ও মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের দুই ভাগে ভাগ করা হচ্ছে—এটা দুর্ভাগ্যজনক। এটা একটা চক্রান্ত ছাড়া কিছু নয়।”
তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আশার কথা শুনিয়েছেন। SSC অফিস সিজ করে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছিল। এতকিছুর পরেও এখনও কোনও প্রমাণ সামনে আসেনি। সুপ্রিম কোর্টও আলাদা করে যোগ্যতা নির্ধারণ করেনি।”
সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন। শিক্ষকদের দাবি—”আমরাও যোগ্য, তাই আইনের পথেই আমাদের চাকরি ও পরিবার রক্ষা হোক।” এইভাবে আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই তাঁরা ফের চাকরিতে ফিরতে চান বলে আশাবাদী।