স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যার নাটক! ১০ বছর পর মিলল ন্যায়

পণের টাকায় মন না ভরে আরও তিন লক্ষ টাকার দাবি। সেই টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারলেন স্বামী। সেই নির্মম খুনের ঘটনায় শেষমেশ বিচার মিলল। মেদিনীপুর জেলা আদালত দোষী আনন্দ মাইতিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে সবংয়ের তেমাথানি এলাকার আনন্দ মাইতির সঙ্গে বিয়ে হয় সোমাশ্রী পালের। বিয়ের সময় লক্ষাধিক টাকার পণ নেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন পর আনন্দ গাড়ি কেনার জন্য সোমাশ্রীর পরিবারে আরও ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা না পেয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন তিনি। হাসপাতালে মৃত্যু হয় সোমাশ্রীর।

প্রথমে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করলেও, সোমাশ্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আনন্দকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘদিন মামলার শুনানি চলার পর, বুধবার বিচারক সেলিম শাহী আনন্দকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করেন।

শাস্তির মধ্যে রয়েছে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও মৃতের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ। মোট ১৪ জন সাক্ষীর ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করা হয়।

মেয়ে হারিয়ে চোখের জল মুছতে না পারলেও, বিচার পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন সোমাশ্রীর বাবা মন্টু পাল ও মা তুলসী পাল। তাঁরা জানিয়েছেন, “বিচারব্যবস্থার উপর আমাদের বিশ্বাস ছিল। অবশেষে ন্যায় পেলাম।”